তারাবি নামাজ কি কোরানে আছে ?
"তারাবি" শব্দটি আরবি تراويح (tarāwīḥ) থেকে এসেছে, যা روح (r-w-ḥ) রুট থেকে উদ্ভূত।
ر-و-ح (R-W-Ḥ) রুটের মূল অর্থ:
1. বিশ্রাম নেওয়া, আরাম পাওয়া
3. আত্মা বা প্রাণ সম্পর্কিত কিছু (যেমন روح - রূহ, যা আত্মার অর্থে ব্যবহৃত হয়)
তারাবি শব্দের ব্যুৎপত্তিগত বিশ্লেষণ:
تراويح (Tarāwīḥ) শব্দটি ترويحة (Tarwīḥah) এর বহুবচন।
ترويحة শব্দের মূল অর্থ একটি বিশ্রামের সময় বা একটি প্রশান্তির মুহূর্ত।
অতএব, تراويح অর্থ অনেক বিশ্রামের সময় বা পুনরাবৃত্ত বিশ্রাম।
কোরআনিক দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা:
"তারাবি" শব্দটি কোরআনে নেই। এটি পরবর্তী কালের পরিভাষা।
শব্দটির অর্থ অনুসারে, এটি এমন কিছু বোঝায় যা প্রশান্তি দেয়, মানসিক ও শারীরিক আরাম আনে।
তাই, এর অর্থ আরামদায়ক বিরতি, বিশ্রামের সময়, অথবা এমন কিছু যা আত্মা ও মনকে শান্তি দেয়।
মূলকথা:
"তারাবি" শব্দের রুট বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায়, এটি মূলত বিশ্রাম, প্রশান্তি ও আত্মার শান্তির সাথে সম্পর্কিত। প্রচলিত ধারণার বাইরে এর প্রকৃত অর্থ বোঝার জন্য, এর ব্যবহার ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করতে হবে।
****"*
- "তারাবির নামাজ" নামে কোরআনে কোনো বিধান নেই। কোরআনের কোথাও তারাবির বিশেষ কোনো নামাজ সম্পর্কে উল্লেখ নেই।
- কোরআনে কোথাও রমাদানে অতিরিক্ত সালাতের নির্দেশ নেই।
- কোরআন শুধু সালাত প্রতিষ্ঠার কথা বলে (উদাহরণ: সূরা বাকারা ২:৩, সূরা আনকাবূত ২৯:৪৫)।
- "তারাবি" নামাজ কি কোরআনিক ইবাদত?
- ----না। কারণ কোরআনে এর কোনো ভিত্তি নেই।
- এটি একটি ঐতিহাসিক সংস্কার, যা ইসলামের পরবর্তী সময়ে চালু হয়েছে।
- তাহলে রমাদানে কী করা উচিত?
- কোরআন স্পষ্টভাবে বলে রমাদান কোরআন উপলব্ধির সময় (২:১৮৫)।
- রমাদানের মূল উদ্দেশ্য তাকওয়া অর্জন করা (২:১৮৩), যা সাধারণ সালাত, সৎকর্ম, আত্মশুদ্ধি ও কোরআন অধ্যয়নের মাধ্যমে অর্জন করা যায়।
- অতিরিক্ত কোনো ইবাদতকে বাধ্যতামূলক বা সামাজিকভাবে চাপিয়ে দেওয়া কোরআনের শিক্ষার সাথে সাংঘর্ষিক।
শেষ কথা;
"তারাবির নামাজ" কোনো কোরআনিক বিধান নয়, বরং পরবর্তীকালের সংযোজন। কোরআনের মূল শিক্ষা অনুযায়ী, ইবাদত শুধুই আল্লাহর নির্দেশিত পদ্ধতিতে হওয়া উচিত, যা কোনো মানব রচিত প্রথা বা অতিরিক্ত বিধান চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়।
No comments:
Post a Comment