কুরআনের আলোকে পোশাক – রুট বিশ্লেষণ দিয়ে প্রচলিত ভ্রান্তি ভাঙুন
✅ 📍 ১: পোশাক নিয়ে কুরআন আসলে কী বলে?
🟢 কুরআনে 'লিবাস' শব্দ এসেছে – যার রুট: ل ب س
👉 যার মানে: আচ্ছাদন, রক্ষা, পরিচ্ছেদ
📖 আরাফ ৭:২৬ –
“লিবাস যা লজ্জা ঢাকে ও শোভা আনে। আর তাকওয়ার লিবাসই উত্তম।”
🔍 তাকওয়ার লিবাস মানে?
→ নৈতিক শালীনতা
→ আত্মসংযম
→ আত্মিক পরিশুদ্ধি
❌ কালো বোরখা, মুখ ঢাকার কথা নেই
✅ শালীনতা, দায়িত্ববোধ, দৃষ্টিনিয়ন্ত্রণ – এগুলোই কুরআনিক পোশাক
✅ 📍২: খিমার আর জিব – ওড়না নয়, উদ্দেশ্য কী?
📖 নূর ২৪:৩১ –
“... তারা যেন তাদের খিমার দিয়ে বুকের খোলা অংশ ঢাকে।”
🔹 خمار (খিমার) – ঢাকার কাপড় (রুট: خ م ر)
🔹 جيب (জিব) – বুকের খোলা স্থান (রুট: ج ي ب)
👉 উদ্দেশ্য: স্পর্শকাতর অংশ ঢাকা
❌ মুখ/চুল ঢাকার বাধ্যবাধকতা নেই
✅ সততার প্রতীক হিসেবে ‘শরীরের বিশেষ অংশ ঢেকে রাখা’
✅ 📍৩: জিলবাব মানেই কি বোরখা?
📖 আহযাব ৩৩:৫৯
“... তারা যেন নিজেদের জিলবাব টেনে নেয়, যাতে চেনা যায় ও হয়রানি না হয়।”
🔹 جلابيب (জিলবাব) – চাপানো বা টানা আবরণ (রুট: ج ل ب)
🔍 উদ্দেশ্য:
✅ পরিচিত হওয়া
✅ সমাজে নিরাপদ থাকা
❌ বাধ্যতামূলক ঢাকাবাজি নয়
✅ 📍৪: পুরুষের জন্য কুরআনের পোশাক নীতি?
📖 নূর ২৪:৩০
“... তারা যেন দৃষ্টি সংযত রাখে এবং লজ্জাস্থান সংরক্ষণ করে।”
🔹 غض (ঘদ্দ) – দমন করা
🔹 فرج (ফারজ) – ফাঁক / যৌনাঙ্গ
👉 পোশাক নয়, চোখ ও আচরণে নিয়ন্ত্রণই মূল পোশাক
✅ শালীনতা
✅ চোখের সংযম
❌ ‘শুধু নারীর দায়িত্ব’ এই ধারণা ভুল
✅ 📍৫: কুরআনের পোশাক নীতির সারসংক্ষেপ
নির্দেশনা | পুরুষ | নারী |
---|---|---|
দৃষ্টি সংযম | ✅ | ✅ |
লজ্জাস্থান রক্ষা | ✅ | ✅ |
গলার খোলা অংশ ঢাকা | ❌ | ✅ |
হয়রানি থেকে বাঁচতে আবরণ | ❌ | ✅ |