ঈদের নামাজ কত তাকবীর?
এই নামাজ কোন আয়াতের ব্যাখ্যা ? কোরআন কি সমথন করে ?
কোরানের বাইরে, ইসলামী ফিকহ ও হাদিস অনুসারে, ঈদের নামাজ দুই রাকাত এবং এতে অতিরিক্ত তাকবীর দেওয়া হয়। ঈদের নামাজের অতিরিক্ত তাকবীরের সংখ্যা বিভিন্ন মাজহাবের মধ্যে পার্থক্য:
1. হানাফি মাজহাব:
- প্রথম রাকাতে: ৩টি অতিরিক্ত তাকবীর
- দ্বিতীয় রাকাতে: ৩টি অতিরিক্ত তাকবীর
2. শাফেয়ি ও হাম্বলি মাজহাব:
- প্রথম রাকাতে: ৭টি অতিরিক্ত তাকবীর
- দ্বিতীয় রাকাতে: ৫টি অতিরিক্ত তাকবীর
3. মালিকি মাজহাব:
- প্রথম রাকাতে: ৬টি অতিরিক্ত তাকবীর (তাকবীরে তাহরিমা বাদে)
- দ্বিতীয় রাকাতে: ৫টি অতিরিক্ত তাকবীর
আমি কোন দলের অন্তর্ভুক্ত হবো ?
এরা তো নিজেরা মারামারি করছে, কারণ তারা কেউ বিধানদাতা নয়। আল্লাহ একমাত্র বিধানদাতা। ইসলামে সত্যিকারের পথপ্রদর্শক আল্লাহই, এবং তাঁর বিধানই চূড়ান্ত। যদিও বিভিন্ন মাজহাব ও মতবাদ তৈরি হয়েছে, এগুলি কেবল মুসলিমদের বিভক্ত করেছে , যা মানুষের মধ্যে দল উপদলে বিভক্ত করেছে । তাই আমাদের উচিত বিভাজন থেকে বিরত থাকা এবং আল্লাহর নির্দেশনা অনুসরণ করা, কারণ তিনি একমাত্র সত্যিকারের পথপ্রদর্শক।
- "আল্লাহ তাঁর বিধানে কাউকে শরীক করেন না।"(১৮:২৬)
- সুরা আল-আন'আম (6:57): "তুমি তাদের বলো, 'আমার রবের নির্দেশ ছাড়া কেউ কোন রকম সিদ্ধান্ত দিতে পারে না।"
- সুরা আল-জুমার (39:44): "বল, আল্লাহরই সমস্ত আন্তরিক স্তুতি। তিনি এ সিদ্ধান্তের অধিকারী, যিনি পৃথিবী ও আকাশের সমস্ত সত্তার মালিক।"
- সুরা আল-ইমরান (3:103) "আর আল্লাহর রশ্মিতে তোমরা একত্রিত হয়ে, এবং বিভক্ত হয়ো না..."
- সুরা আল-আনআম (6:159) "যারা নিজেদের দ্বীনকে বিভক্ত করেছে এবং দলে দলে বিভক্ত হয়েছে, তোমার তাদের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই। তাদের বিষয় আল্লাহর কাছেই ন্যস্ত, তারপর তিনি জানিয়ে দেবেন যা তারা করত।"
- সুরা রুম (30:31-32) "আল্লাহর দিকে ফিরে এসো, তাঁকে ভয় করো এবং সালাত কায়েম করো। আর মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না— যারা তাদের দ্বীনকে বিভক্ত করেছে এবং বিভিন্ন দলে পরিণত হয়েছে, প্রত্যেক দলই যা তাদের কাছে আছে তাতে আনন্দিত।"
এখানে কোরআন স্পষ্টভাবে বলছে যে দ্বীনকে বিভক্ত করা যাবে না এবং বিভিন্ন গোষ্ঠীতে ভাগ হওয়া যাবে না।
কোরআনে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে দ্বীনের বিষয়ে বিভক্ত হওয়া উচিত নয়, এবং আল্লাহর বিধানের বাইরে অনুমান ও মনগড়া নিয়ম তৈরি করা ভুল।

সুরা আল-ইসরা (17:36)
"আর যে বিষয়ের তোমার জ্ঞান নেই, তার অনুসরণ করো না। নিশ্চয়ই কান, চক্ষু ও হৃদয়ের প্রতিটি জিজ্ঞাসিত হবে।"

সুরা আন-নজম (53:28)
"তারা অনুমান ছাড়া কোনো জ্ঞান রাখে না, আর অনুমান সত্যের কোনো উপকার করে না।"

সুরা আন-নামল (27:84-85)
"যখন তারা (কিয়ামতের দিন) সামনে আসবে, তখন আল্লাহ বলবেন: ‘তোমরা কি আমার আয়াতগুলোকে মিথ্যা বলেছিলে, অথচ তোমাদের জ্ঞান এ বিষয়ে পৌঁছেনি? তোমরা কী করছিলে?’ ফলে তারা যে জুলুম করেছিল, তার কারণে শাস্তি তাদের ওপর আপতিত হবে, আর তারা কিছুই বলতে পারবে না।"
হিসাব-নিকাশের দিন এদের কী হবে?
যেহেতু এদের প্রত্যেকের মতবাদ ভিন্ন, তাই প্রশ্ন ওঠে—আল্লাহর সামনে কীভাবে নিজেদের যুক্তি উপস্থাপন করবে? কোরআন বলে:

সুরা ফুসসিলাত (41:40)
"যারা আল্লাহর আয়াত সম্বন্ধে বিপথগামীতা সৃষ্টি করে, তারা জানুক যে, তারা শাস্তি থেকে রেহাই পাবে না।"
যখন প্রত্যেক মাজহাবের মধ্যে পার্থক্য এত স্পষ্ট, তখন সত্য কি এক নয়?
যদি এক হয়, তাহলে এত বিভক্তি কেন?