প্রশ্ন: মুসলিম দেশগুলোতেই খুন, ধর্ষণ, দুর্নীতি, নৈতিক অবক্ষয় বেশি কেন?
➡ মুসলিমদের ধর্মীয় অনুশীলন তো অনেক বেশি, কিন্তু কেন তাদের সমাজে এত অন্যায়?
➡ কুরআন কি তাহলে ভুল বলছে? না কি মুসলিমরা কুরআনের প্রকৃত শিক্ষা থেকে বিচ্যুত?
১. ইসলামিক নামধারী সমাজ, কিন্তু কুরআনের সমাজ নয়
কুরআন বলে:
"তারা বলে, আমরা ঈমান এনেছি, কিন্তু তারা আসলে ঈমান আনেনি।" (সূরা বাকারাহ ২:৮)
✔ মুসলিম দেশগুলোর বেশিরভাগ মানুষ ধর্মকে আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখেছে।
✔ তারা ‘নামাজ’ পড়ে, কিন্তু ‘সালাত কায়েম’ করে না।
✔ তারা ‘রোজা’ রাখে, কিন্তু তাকওয়া অর্জন করে না।
✔ তারা হালাল-হারাম নিয়ে আলোচনা করে, কিন্তু নিজেদের লেনদেন ও আচরণে হারাম মিশিয়ে ফেলে।
✔ তারা মুখে আল্লাহর নাম নেয়, কিন্তু কাজে শয়তানের অনুসারী হয়।
➡ তাই মুসলিম সমাজে অন্যায় বেশি, কারণ তারা আল্লাহর বিধান কায়েম করেনি, বরং ধর্মকে লোক দেখানো বানিয়ে ফেলেছে।
২. কুরআনকে পরিত্যাগ করার ফলাফল
কুরআনে আছে:
“আমার রাসূল বলবে, হে আমার রব, আমার উম্মত এই কুরআনকে ত্যাগ করেছে।” (সূরা ফুরকান ২৫:৩০)
✔ মুসলিম সমাজে কুরআনের পরিবর্তে হাদিস, ফিকহ, মাযহাব, শাসকদের তৈরি আইন এবং বাপ-দাদার রীতি প্রাধান্য পেয়েছে।
✔ কুরআনের আইন বাস্তবায়ন না করে, তারা নিজেদের মনগড়া আইন বানিয়েছে।
✔ মুসলিমদের মধ্যে সত্য বলার, ন্যায়বিচার করার, দুর্নীতি প্রতিরোধ করার কোনো বাস্তব শিক্ষা নেই, কারণ তারা কুরআন বোঝার চেষ্টাই করে না।
✔ তারা কুরআনের সালাত ছেড়ে দিয়েছে, শুধু শারীরিক নামাজ নিয়ে পড়ে আছে।
➡ ফলাফল? সমাজ ধ্বংসের পথে!
৩. ধর্মব্যবসা ও মোল্লাতন্ত্রের বিস্তার
✔ ইসলামকে ব্যবসা বানানো হয়েছে।
✔ ধর্মগুরুরা সত্য না বলে শুধু লোক দেখানো ধর্ম প্রচার করে।
✔ পীর-মাশায়েখ, হুজুররা নিজেদের স্বার্থে ধর্মকে ব্যবহার করে।
✔ রাজনীতিবিদরা ইসলামকে শুধু ক্ষমতার হাতিয়ার বানিয়েছে, বাস্তবে কুরআনের আদেশ মানে না।
➡ যেখানে সত্য বলা হয় না, সেখানেই দুর্নীতি বাড়ে!
৪. মুসলিমদের কপটতা ও মুনাফিকী
কুরআনে মুনাফিকদের সম্পর্কে বলা হয়েছে:
“তারা বলে, আমরা ঈমান এনেছি, কিন্তু তারা মিথ্যাবাদী।” (সূরা মুনাফিকুন ৬৩:১)
✔ মুসলিমরা নিজেদের ধর্মপ্রাণ দাবি করে, কিন্তু বাস্তবে তারা অন্যায় কাজে লিপ্ত।
✔ তারা নামাজ পড়ে, অথচ মিথ্যা বলে।
✔ তারা হজ করে, অথচ সুদ খায়।
✔ তারা রোজা রাখে, অথচ দুর্নীতি করে।
✔ তারা মসজিদ বানায়, অথচ ন্যায়বিচার করে না।
➡ যখন সমাজে মুনাফিকদের আধিপত্য থাকে, তখন সত্য, ন্যায়বিচার ও কল্যাণের অভাব হয়।
৫. মুসলিম দেশগুলোতে কুরআন-সম্মত বিচারব্যবস্থা নেই
✔ যেখানে খুন, ধর্ষণ, দুর্নীতি হয়, সেখানে ন্যায়বিচার দরকার।
✔ কিন্তু মুসলিম দেশগুলোতে বিচারব্যবস্থা নষ্ট হয়ে গেছে।
✔ অপরাধীরা শাস্তি পায় না, বরং ক্ষমতাশালীদের ছত্রছায়ায় থাকে।
✔ কুরআনের আইন মানলে সমাজে খুন, ধর্ষণ, দুর্নীতি বন্ধ হতো।
➡ কুরআনের আইন ছাড়া মুসলিম দেশগুলোতে শান্তি আসবে না।
উপসংহার: কেন মুসলিম দেশগুলোতেই অপরাধ বেশি?
✔ কারণ মুসলিমরা কুরআনের সালাত কায়েম করেনি, শুধু নামাজ পড়ে।
✔ কারণ মুসলিমরা আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা করেনি, বরং নিজেদের মনগড়া আইন বানিয়েছে।
✔ কারণ মুসলিমরা সত্য ছেড়ে দিয়েছে, মিথ্যা ও দুর্নীতিকে লালন করেছে।
✔ কারণ মুসলিমদের অধিকাংশ ধর্মীয় নেতারা সত্য বলা ছেড়ে দিয়ে ধর্মব্যবসায় নেমেছে।
✔ কারণ মুসলিমরা নিজেদের চরিত্র গঠন করেনি, শুধু বাহ্যিক ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতায় লিপ্ত থেকেছে।
➡ যতদিন মুসলিমরা কুরআনের বিধান বাস্তবায়ন না করবে, ততদিন তারা ধ্বংসের দিকেই যাবে।
সমাধান;
✔ কুরআনকে বুঝে পড়তে হবে এবং তার বিধান বাস্তবায়ন করতে হবে।
✔ সত্য প্রচার করতে হবে, মিথ্যাকে প্রত্যাখ্যান করতে হবে।
✔ ধর্মীয় ব্যবসা ও মুনাফিকদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।
✔ ন্যায়বিচার ও সততার নীতি কায়েম করতে হবে।
✔ কুরআনের সালাত কায়েম করতে হবে, শুধু নামাজ পড়লেই হবে না।