আরবি عِيدًا (ঈদান) শব্দটি আসলে "পুনরাবৃত্তি" বা "ফেরত আসা" অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে, যা ফার্সি ভাষার "ঈদ" অর্থ "আনন্দ-উৎসব"-এর থেকে ভিন্ন।
বিষয়ভিত্তিক বিশ্লেষণ:
1. সুরা মায়েদা ৫:১১৪-এর প্রসঙ্গ
এখানে ঈসা (আঃ) আল্লাহর কাছে একটি আসমানী নিদর্শন ও খাদ্যপ্রাপ্তির জন্য প্রার্থনা করছেন, যা হবে তার অনুসারীদের জন্য "ঈদান" বা পুনরাবৃত্তিমূলক নিদর্শন। এটা আসলে কোনো নির্দিষ্ট বার্ষিক উৎসবের ইঙ্গিত নয়, বরং এটি একবার প্রাপ্তির পর বারবার স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
2. আরবিতে "ঈদ" শব্দের প্রকৃত অর্থ
মূলধাতু عَوَدَ (আওদা) থেকে এসেছে, যার অর্থ ফিরে আসা, পুনরাবৃত্তি হওয়া, পুনরুদ্ধার করা।
তাই কুরআনিক অর্থ অনুযায়ী "ঈদ" মানে শুধু আনন্দোৎসব নয়, বরং এমন কিছু যা বারবার ফিরে আসে, পুনরুদ্ধার হয়, বা সুনিশ্চিতভাবে প্রত্যাবর্তন করে।
3. ফার্সি "ঈদ" বনাম কুরআনিক "ঈদান"
ফার্সি ভাষায় "ঈদ" মানে শুধু আনন্দ-উৎসব ও খুশি বোঝায়।
কিন্তু কুরআনের "ঈদান" শব্দের মধ্যে আছে আল্লাহর পক্ষ থেকে একবার প্রাপ্ত কিছু যা বারবার স্মরণীয় হয় এবং বারবার ফিরে আসতে পারে।
তাই আমাদের প্রচলিত ঈদ (ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা) যদি মূল কুরআনিক অর্থে না হয়, তবে সেটি মূলত ফার্সি সংস্কৃতির প্রভাবের মাধ্যমে প্রচলিত হয়েছে বলেই মনে হয়।
তাহলে আমরা কি বাইবেলের অনুসরণ করছি?
খ্রিস্টানদের Holy Communion বা Lord’s Supper ধারণাটিও ঈসা (আঃ)-এর ঐ ঘটনার ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত।