আকিকার প্রকৃত সত্য: কোরআনে নেই, দ্বীনের অংশ নয়
অনেকেই মনে করেন, আকিকা নবজাতকের জন্য একটি ইসলামী বিধান, যা পালন করা জরুরি। কিন্তু আসল সত্য হলো, আকিকা কোরআনে নেই এবং এটি দ্বীনের অংশ নয়। এটি মূলত প্রাচীন আরব ও অন্যান্য সংস্কৃতি থেকে আসা একটি ঐতিহ্যগত রীতি। দ্বীনের অংশ হতে হলে অবশ্যই কোরআনে থাকতে হবে, কারণ কোরআন দ্বীনকে সম্পূর্ণ বলে ঘোষণা করেছে।
আকিকার উৎপত্তি কোথা থেকে?
আকিকার ধারণাটি বিভিন্ন সংস্কৃতিতে পাওয়া যায়, বিশেষ করে:
✅ প্রাক-ইসলামিক (জাহেলি) আরব সংস্কৃতি:
ইসলামপূর্ব আরবে নবজাতকের জন্ম উপলক্ষে পশু কোরবানি করা হতো।
পশুর রক্ত শিশুর মাথায় লাগানো হতো সৌভাগ্য ও সুরক্ষার প্রতীক হিসেবে।
✅ প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতা:
নবজাতকের সুস্থতা কামনায় পশু উৎসর্গ করা হতো।
✅ গ্রীক ও রোমান সভ্যতা:
দেবতাদের সন্তুষ্ট করতে পশু উৎসর্গের রীতি প্রচলিত ছিল।
✅ ইহুদি ধর্ম:
প্রথম সন্তানকে আল্লাহর জন্য উৎসর্গ করার প্রতীকী আয়োজন ছিল (পিদ্যোন হা-বেন)।
✅ হিন্দু ধর্ম:
"নামকরণ সংস্কার" অনুষ্ঠানে পশু উৎসর্গের প্রচলন ছিল।
➡ আকিকা কোরআনের বিধান নয়, বরং এটি বিভিন্ন সংস্কৃতিতে প্রচলিত একটি সামাজিক রীতি যা পরবর্তী সময়ে ইসলামী সমাজে প্রবেশ করেছে।
কোনো কিছু দ্বীনের অংশ হতে হলে কোরআনে থাকতে হবে
➡ কোরআন দ্বীনকে সম্পূর্ণ ঘোষণা করেছে:
সুরা মায়েদা 5:3
“আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার নেয়ামত সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন হিসেবে গ্রহণযোগ্য করলাম।”
➡ যা কোরআনে নেই, তা দ্বীনের অংশ নয়:
সুরা আনআম 6:114
“আমি কি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোনো বিধানদাতাকে খুঁজব, অথচ তিনিই তোমাদের জন্য বিস্তারিত কিতাব নাজিল করেছেন?”
➡ দ্বীনে নতুন কিছু সংযোজন করা বিদআত:
সুরা আশ-শুরা 42:21
“তাদের কি এমন শরীক আছে, যারা তাদের জন্য দ্বীনের এমন বিধান তৈরি করেছে, যার অনুমতি আল্লাহ দেননি?”
➡ শুধু কোরআনের বিধানই মান্যযোগ্য:
সুরা আল-কাহাফ 18:26
“তিনি তার বিধানে কাউকে শরীক করেন না।”
মূলকথা:
✔ আকিকা কোরআনের কোনো বিধান নয়, এটি ইসলামপূর্ব আরবের একটি সামাজিক রীতি।
✔ কোনো সামাজিক প্রথা পালন করা যেতে পারে, কিন্তু সেটাকে দ্বীনের অংশ বানানো ভুল।
✔ কোরআনই দ্বীনের একমাত্র নির্ভরযোগ্য উৎস, এর বাইরে কিছু সংযোজন করা হলে তা বিদআত হয়ে যাবে।
✔ যে বিষয়ে কোরআনে নির্দেশনা নেই, তা দ্বীনের অংশ নয় এবং সেটাকে ফরজ বা সুন্নত হিসেবে প্রচার করা ভুল।
➡ তাই, দ্বীনের নামে আকিকা প্রচার করা
সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন। দ্বীনের জন্য শুধু কোরআনই যথেষ্ট!
No comments:
Post a Comment