শর্ট ডেসক্রিপশন: কুরআন বোঝার সঠিক উপায় এবং সমাজে প্রচলিত অনুবাদ ও প্রচলিত বিশ্বাসের মধ্যে পার্থক্য। কীভাবে আল্লাহর নির্দেশানুসারে সৎকর্ম সম্পাদন করা উচিত এবং কিভাবে আমাদের বিশ্বাস ও কর্মের মূল ভিত্তি কুরআন হওয়া উচিত, তা নিয়ে আলোচনা।
আমি যখন কোরআন বুঝে পড়তে শুরু করলাম, তখন উপলব্ধি করলাম যে, আমাদের প্রচলিত কিছু বিশ্বাস কোরআনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। দাড়ি, টুপি, যুব্বা, পাগড়ি, হাগা, খেজুর ইত্যাদি অনুসরণ কেবল বাহ্যিক অঙ্গভঙ্গির মধ্যে সীমাবদ্ধ, কিন্তু কোরআনে সৎকর্মের গুরুত্ব একেবারেই ভিন্ন। যেমন, আল্লাহ আমাদের যে সৎকর্মের নির্দেশ দিয়েছেন, তা হল আত্মীয়স্বজনের হক দান করা, অভাবগ্রস্থদের সাহায্য করা, ভেজাল না করার মতো মূল দায়িত্বগুলো পালন করা।
এছাড়া, সৎকর্ম হলো কেবল নামাজ পড়া বা কুরআন মুখস্থ করা নয়, বরং আল্লাহর দেওয়া আদেশ অনুসরণ করা। আল্লাহ সৎকর্মের প্রতি আমাদের গুরুত্বারোপ করেছেন, যেমন সুরা ১৭ আয়াত ২৬-এ আল্লাহ বলেছেন "তোমরা আত্মীয়স্বজনের হক দান করো, এবং মুসাফির ও অভাবগ্রস্থদের সাহায্য করো, কিন্তু অপব্যয় করো না।" এরূপ প্রকৃত সৎকর্মই আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য।
আর কোরআনের ব্যাখ্যাতে থাকা এই ধরনের আদর্শগুলির বিপরীতে, প্রচলিত কিছু ধর্মীয় অনুশাসন যেমন জানাজার নামাজ, দোয়া এবং শুদ্ধ তেলাওয়াত শিখিয়ে টাকা আদায় করা, একেবারেই ভুল পথে পরিচালিত করছে। প্রকৃত সৎকর্ম হলো কোরআনকে বুঝে তাতে মেনে চলা, যা শুধু বাহ্যিক কাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়।
No comments:
Post a Comment