১. "নিশ্চয়ই সালাত অশ্লীলতা (ফাহিশা) এবং গর্হিত কাজ (মুনকার) থেকে বিরত রাখে।" (সূরা আল-আনকাবুত ২৯:৪৫)
২. "অতএব দুর্ভোগ তাদের জন্য, যারা সালাতে গাফেল।" (সূরা আল-মাউন ১০৭:৪-৫)
এখন প্রশ্ন হলো—
✔ যদি সালাত ফাহিশা ও মুনকার থেকে বিরত রাখে, তাহলে মুসলিম দেশগুলোতে এত অন্যায়-অপরাধ কেন?
✔ নামাজ পড়া সত্ত্বেও কেন খুন, ধর্ষণ, দুর্নীতি বেড়ে চলেছে?
✔ তাহলে কি কুরআনের এই কথা ভুল?
১. সালাত মানে কি?
কুরআনে সালাত মানে শুধু নামাজ নয়। সালাত মানে সংযুক্ত থাকা, প্রতিষ্ঠিত করা।
✔ কুরআন সালাত কায়েম করার কথা বলেছে, নামাজ পড়ার কথা নয়।
✔ সালাত মানে আল্লাহর নির্দেশের সাথে নিজেকে সংযুক্ত করা এবং সমাজে সেই নীতিগুলো প্রতিষ্ঠা করা।
✔ নামাজ শুধু সালাতের একটি অংশ হতে পারে, কিন্তু শুধুমাত্র নামাজ পড়ে মানুষ সত্যিকারের সালাত কায়েম করতে পারে না।
➡ তাই মানুষ নামাজ পড়লেও ফাহিশা ও মুনকার থেকে বিরত থাকে না, কারণ তারা সালাতের প্রকৃত অর্থ বুঝে না এবং কুরআনের নীতিগুলো প্রতিষ্ঠা করে না।
২. তাহলে আয়াতের বাস্তবতা কীভাবে প্রমাণিত হয়?
(ক) যারা সত্যিকারের সালাত কায়েম করে, তারা অন্যায় থেকে বিরত থাকে।
✔ যখন কেউ কুরআনের নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন গঠন করে, তখন সে ফাহিশা (অশ্লীলতা) ও মুনকার (খারাপ কাজ) থেকে বিরত থাকে।
✔ যেমন: সত্যবাদিতা, ন্যায়বিচার, সততা, পরোপকারিতা—এসবই সালাতের অংশ।
✔ যারা সত্যিকারের সালাত কায়েম করে, তাদের দ্বারা সমাজে শান্তি ও সুবিচার প্রতিষ্ঠিত হয়।
(খ) যারা সালাতে গাফেল, তারা সত্যিকারের দ্বীন থেকে বিচ্যুত হয়।
✔ গাফেল মানে হচ্ছে যারা সালাতের প্রকৃত উদ্দেশ্য বোঝে না এবং কেবল আনুষ্ঠানিক নামাজকেই সালাত মনে করে।
✔ তারা নামাজ পড়ে, কিন্তু তাদের জীবনযাত্রা অন্যায়ের সাথে আপস করে।
✔ তারা দুর্নীতিবাজ, প্রতারক, অন্যায়কারী হয়, কারণ তারা কুরআনের সালাত কায়েম করেনি, শুধু নামাজের আনুষ্ঠানিকতা পালন করেছে।
➡ তাই কুরআনের আয়াত ভুল নয়, বরং মুসলিমরা ভুল বোঝে এবং ভুলভাবে সালাতের চর্চা করে।
৩. মুসলিম সমাজে এত অন্যায় কেন?
✔ কারণ তারা সালাতের প্রকৃত অর্থ বোঝে না, শুধু নামাজকেই সালাত মনে করে।
✔ কারণ তারা কুরআনের সালাত কায়েম না করে, শুধু রুকু-সিজদার নামাজ পড়ছে।
✔ কারণ তারা আল্লাহর বিধান বাস্তবায়ন করছে না, বরং নিজেদের তৈরি নিয়মকানুন মেনে চলছে।
➡ তাই দেখা যায়, মুসলিমরা নামাজ পড়ে, কিন্তু তারা ফাহিশা ও মুনকার থেকে বিরত থাকে না। কারণ তারা কুরআনের সালাত কায়েম করেনি।
৪. তাহলে কুরআনের আয়াত বাস্তবিকভাবেই যুক্তিসঙ্গত
✔ যদি সত্যিকারের সালাত কায়েম হয়, তবে তা সমাজকে ফাহিশা ও মুনকার থেকে দূরে রাখবে।
✔ যারা সালাতে গাফেল, তারা আল্লাহর বিধান ছেড়ে দিয়ে নিজেদের মনগড়া ধর্ম পালন করে, ফলে সমাজে দুর্ভোগ বাড়ে।
✔ মুসলিম দেশগুলোতে অন্যায় বেশি, কারণ তারা সালাতের নাম করে শুধু নামাজ পড়ছে, কিন্তু কুরআনের সালাত কায়েম করছে না।
No comments:
Post a Comment