Labels

আকিকার উৎপত্তি কোথায় থেকে? (1) আমি আল্লাহকে দেখিনাই তাহলে বিশ্বাস করবো কিভাবে ? (1) আমি কোন দলের হাদিস মানবো? (1) আয়াত রহিত না রূপান্তর? (1) আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসুলের আনুগত্য কিভাবে করতে হবে? (1) ইসলামের দল শাখা ও উপশাখার পূর্ণ তালিকা (1) ঈদের আগে ফিতরা দেওয়া কি কুরআনসম্মত? (1) ঈদের নামাজ কত তাকবীর? (1) ঈমান কিসের ভিত্তিতে হবে? (1) কুকুরের মাংস খাওয়া হারাম নাকি হালাল? (1) কুরআন: শুধু তোতাপাখির মতো পড়ার জন্য নাকি বাস্তবায়নের জন্য? (1) কুরআনে পর্দা পোশাক ও হেফাজত (1) কুরআনের আলোকে পোশাক – রুট বিশ্লেষণ দিয়ে প্রচলিত ভ্রান্তি ভাঙুন (1) কুরআনের ভাষায় ‘মূর্তি’ মানে কি শুধু ভাস্কর্য? (1) কোরআনের দৃষ্টিতে অধিকাংশ মানুষ কেমন ? (1) কোরআনের বাইরে ওহী এসেছে কি ? (1) চার বিবাহ কোরানে নেই! (1) জাহান্নাম আগুন নয় চেতনাগত পতনের নাম (1) জিনা কি শুধু শারীরিক সম্পর্ক? (1) দাঁড়ি টুপি জুব্বা ইসলামের অংশ নয় (1) ধর্ষণ দুর্নীতি ও নৈতিক অবক্ষয় বেশি কেন? Part - 2 (1) নবীকে দরুদ পাঠানো সম্ভব? (1) নামাজ খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে না ! (1) নামাজ/সালাত পড়তে হবে নাকি প্রতিষ্ঠা করতে হবে ? (1) নারীদের জ্ঞান অর্জনের কোনো অধিকার নেই? (1) পার্সিয়ান ঈদ বনাম কোরআনের ইদান (1) বোরখা সৃষ্টির ইতিহাস (1) মুসলিম কে হতে পারে? (1) মুসলিম দেশগুলোতে খুন (1) মুসলিম দেশগুলোতেই খুন ধর্ষণ দুর্নীতি নৈতিক অবক্ষয় বেশি কেন? Part - 01 (1) রুকু এবং সিজদা কী? পার্থক্য কী? (1) লাইলাতুল কদর (1) সালাত পড়বেন নাকি প্রতিষ্ঠা করবেন? (1) সূরা আল কদরের রুট অর্থ (قَدْرٌ): (1) হাউজে কাউসার কি ? কোরআনিক বিশ্লেষণ (1) হালাল শব্দের প্রকৃত অর্থ কি ? (1) হিকমাহ (1)

দ্বীনের বিনিময়ে অর্থ গ্রহণ করা কুরআনে স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ

 দ্বীনের বিনিময়ে অর্থ গ্রহণ করা কুরআনে স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ

কুরআনের নির্দেশনা অনুসারে, দ্বীনের কাজ বিনিময়হীন হওয়া উচিত। কুরআন স্পষ্টভাবে নিষেধ করেছে দ্বীনের বিনিময়ে অর্থ গ্রহণ করা, এটাকে "আল্লাহর আয়াত বিক্রি করা" বলা হয়েছে।
১. যারা দ্বীনের বিনিময়ে কিছু গ্রহণ করে না, তাদের অনুসরণ করতে বলা হয়েছে
সুরা ইয়াসিন 36:21
اتَّبِعُوا مَن لَّا يَسْأَلُكُمْ أَجْرًا وَهُم مُّهْتَدُونَ
"তোমরা তাদের অনুসরণ করো, যারা তোমাদের কাছে কোনো প্রতিদান চায় না এবং তারা সঠিক পথপ্রাপ্ত।"
➡ এটি স্পষ্ট নির্দেশ যে, প্রকৃত হিদায়াতপ্রাপ্তরা দ্বীনের জন্য কোনো বিনিময় গ্রহণ করে না।
২. দ্বীনের জন্য বিনিময় গ্রহণ করা সরাসরি হারাম
সুরা আল বাকারা 2:41
وَلَا تَشْتَرُوا بِآيَاتِي ثَمَنًا قَلِيلًا وَإِيَّايَ فَاتَّقُونِ
"আমার আয়াতের বিনিময়ে সামান্য মূল্য গ্রহণ করো না এবং শুধু আমাকেই ভয় করো।"
➡ আল্লাহর আয়াতকে কোনো মূল্যে বিক্রি করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দ্বীনের জ্ঞান প্রচার করে বিনিময়ে কিছু গ্রহণ করা এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়ে।
৩. যারা দ্বীনের বিনিময়ে অর্থ গ্রহণ করে, তাদের কঠিন শাস্তির ঘোষণা
সুরা আল বাকারা 2:174
إِنَّ الَّذِينَ يَكْتُمُونَ مَا أَنزَلَ اللَّهُ مِنَ ٱلْكِتَـٰبِ وَيَشْتَرُونَ بِهِۦ ثَمَنًۭا قَلِيلًۭا أُو۟لَـٰٓئِكَ مَا يَأْكُلُونَ فِى بُطُونِهِمْ إِلَّا ٱلنَّارَ
"যারা আল্লাহর কিতাব থেকে যা নাজিল হয়েছে তা গোপন করে এবং এর বিনিময়ে সামান্য মূল্য গ্রহণ করে, তারা নিজেদের পেটে আগুন ভরে খাচ্ছে।"
➡ এখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, যারা দ্বীনের বিনিময়ে কিছু গ্রহণ করে, তারা যেন আগুন খাচ্ছে! অর্থাৎ, দ্বীনের বিনিময়ে উপার্জন করা হারাম।
৪. নবীগণ কখনো দ্বীনের বিনিময়ে কিছু গ্রহণ করেননি
নবীদের দাওয়াতের মূলনীতি ছিল বিনামূল্যে প্রচার করা।
নূহ (আ.)
سورة الشعراء 26:109
وَمَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ إِنْ أَجْرِيَ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّ الْعَالَمِينَ
"আমি তোমাদের কাছে কোনো প্রতিদান চাই না, আমার প্রতিদান তো শুধু জগতসমূহের প্রতিপালকের কাছে।"
➡ নবীগণ দ্বীনের প্রচারের জন্য কখনো কোনো বিনিময় গ্রহণ করেননি, বরং বিনিময় আল্লাহর কাছে চেয়েছেন।
৫. দ্বীনকে ব্যবসা বানানো হারাম ঘোষণা
সুরা আত-তাওবা 9:9
ٱشْتَرَوْا۟ بِـَٔايَـٰتِ ٱللَّهِ ثَمَنًۭا قَلِيلًۭا فَصَدُّوا۟ عَن سَبِيلِهِۦ
"তারা আল্লাহর আয়াতের বিনিময়ে তুচ্ছ মূল্য ক্রয় করে এবং মানুষকে তাঁর পথ থেকে বাধা দেয়।"
➡ যারা দ্বীনের নামে কিছু গ্রহণ করে, তারা মানুষকে বিভ্রান্ত করে এবং সত্য পথ থেকে সরিয়ে দেয়।
স্পষ্ট উপসংহার:
✅ দ্বীনের বিনিময়ে অর্থ গ্রহণ করা কুরআন অনুযায়ী সম্পূর্ণ হারাম।
✅ নবীগণ কখনো দ্বীনের জন্য কোনো বিনিময় গ্রহণ করেননি, বরং আল্লাহর কাছ থেকে প্রতিদান চেয়েছেন।
✅ যারা দ্বীনের নামে কিছু গ্রহণ করে, তারা নিজেদের পেটে আগুন ভরে খাচ্ছে (সুরা বাকারা 2:174)।
✅ মানুষকে বলা হয়েছে তাদের অনুসরণ করতে, যারা কোনো বিনিময় চায় না (সুরা ইয়াসিন 36:21)।
সুতরাং, কুরআনের স্পষ্ট নির্দেশনা অনুযায়ী, দ্বীনের কাজের জন্য কোনো বিনিময় গ্রহণ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।


আল্লাহ রিজিকের দায়িত্ব নিয়েছেন, কিন্তু পরিশ্রম করতে হবে।
✅ কাজ না করলে কিছুই পাওয়া যাবে না (সুরা নাজম ৫৩:৩৯)।
✅ কুরআনে বলা হয়েছে, অলসতা হারাম (সুরা তাওবা ৯:১০৫)।
✅ রিজিক খুঁজতে বের হতে হবে, আল্লাহ তা তাতে বরকত দেবেন (সুরা মূলক ৬৭:১৫)।
➡ সুতরাং, কেউ যদি দ্বীনের জন্য বিনিময় গ্রহণ না করে, তাহলে তাকে অবশ্যই হালাল উপার্জনের জন্য কাজ করতে হবে। নবীগণও নিজেদের জীবিকা নির্বাহের জন্য কাজ করেছেন, অলস বসে থাকেননি।


No comments:

Post a Comment

দাঁড়ি, টুপি, জুব্বা কি ইসলামের অংশ? কোরান-ভিত্তিক পোশাক বিশ্লেষণ

  কোরানে কী ধরনের পোশাকের কথা বলা হয়েছে? দাঁড়ি, টুপি, জুব্বা কি ইসলামের অংশ নাকি আরব সংস্কৃতি? কোরানভিত্তিক যুক্তিপূর্ণ বিশ্লেষণ। ❝ কি সত্...