কুরআন শুধু পড়লেই হবে?
কুরআন মুখস্থ করা নয়, বুঝে মানাই আসল দ্বীন
অনেক মূর্খ মুসলমান কুরআনের আরবি উচ্চারণ করে পড়াকে "কুরআন মানা" এবং "বিশ্বাস করা" মনে করে। অথচ কুরআন শুধু পড়ার জন্য নাজিল হয়নি, বরং বুঝে মানার জন্য এসেছে।

কুরআন শুধু পড়লেই হবে?
কুরআনে কোথাও বলা হয়নি যে, শুধু মুখস্থ করলে বা সুর করে পড়লেই জান্নাত পাওয়া যাবে। বরং কুরআন বলছে—

"তারা কি কুরআন নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করে না? নাকি তাদের হৃদয়ে তালা লাগানো আছে?"

(সূরা মুহাম্মাদ ৪৭:২৪)
যারা শুধু মুখস্থ করে বা সুর করে পড়ে, কিন্তু বোঝে না—তাদের হৃদয় তালাবদ্ধ!

"যারা তাদের ধর্মগ্রন্থ বহন করে, কিন্তু তা অনুসরণ করে না, তারা গাধার মতো, যে পিঠে বইয়ের বোঝা বহন করে।"

(সূরা আল-জুমুআ ৬২:৫)
এখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, কুরআন শুধু মুখস্থ করলে বা বহন করলেই হবে না, বরং তা বুঝে মানতে হবে।

কুরআনের আসল শিক্ষা কী?
কুরআনের মূল উদ্দেশ্য হলো বুঝা, চিন্তা করা, এবং বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করা।

"এটি এক বরকতময় কিতাব, যা আমি তোমার প্রতি নাজিল করেছি, যাতে তারা এর আয়াতগুলো নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করে এবং বুদ্ধিমানরা উপদেশ গ্রহণ করে।"

(সূরা সোয়াদ ৩৮:২৯)
এখানে "চিন্তা করা" এবং "উপদেশ গ্রহণ করা" বলা হয়েছে, শুধু পড়ার কথা বলা হয়নি।

ইসলাম ধর্ম নয়, দ্বীন
ইসলাম শুধু কিছু আচার-অনুষ্ঠানের নাম নয়, এটি একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা (দ্বীন)।

"নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য দ্বীন একমাত্র ইসলাম।"

(সূরা আলে ইমরান ৩:১৯)
"ধর্ম" মানে শুধু কিছু উপাসনা, কিন্তু "দ্বীন" মানে হলো ব্যক্তিগত, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক—সর্বক্ষেত্রে আল্লাহর বিধান মেনে চলা।

ইসলামকে ধর্ম মনে করলে মানুষ শুধু নামাজ-রোজার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।

কিন্তু ইসলামকে দ্বীন হিসেবে নিলে সমাজ, বিচার, রাজনীতি, অর্থনীতি—সবকিছুতে কুরআনের বিধান মানতে হবে।

উপসংহার

কুরআন শুধু সুর করে পড়ার জন্য নয়, বরং বুঝে মানার জন্য।

মুখস্থ করাই আসল বিষয় নয়, বরং কুরআন জীবনে প্রয়োগ করাই প্রকৃত দ্বীন।

ইসলাম ধর্ম নয়, একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা (দ্বীন)।
তাহলে এখন প্রশ্ন—আপনি কি শুধু পড়বেন, নাকি বুঝে মানবেন?
No comments:
Post a Comment